Post Updated at 3 Jul, 2024 – 9:05 PM
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের আগেই ইসলামের সকল বিধিবিধান ও শরীয়ত পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ইসলামী শরীয়তে কোনো দিবসের মর্যাদা, তাৎপর্য ও ফজিলত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত এই শরীয়ত পরিপূর্ণ রূপেই সংরক্ষিত থাকবে। আল্লাহ তাআলা নিজে এই শরীয়ত, শরীয়তের দলীল ও দলীলের উৎসসমূহ হেফাযত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পরে এখন আর এই শরীয়তের কোনো হুকুম রহিত হওয়ার সুযোগ নেই।
ইসলামী শরীয়ত যেভাবে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, আজ পর্যন্ত সেভাবেই সংরক্ষিত আছে। আর সে অনুযায়ীই সবার আমল করা আবশ্যক। তাতে কোনো ধরনের সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ নেই। অতএব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইনতিকালের পরে সংঘটিত কোনো মুসিবত বা আনন্দের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, কোনো দিন বা কোনো মাসের নতুন কোনো ফযীলত বা নতুন কোনো বিধান আবিষ্কার করা যাবে না। এমন করা হলে তা হবে পরিষ্কার বিদআত ও গোমরাহী, যার ঠিকানা জাহান্নাম।
আমরা সকলেই জানি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর ৫০ বছর পরে ৬১ হিজরির ১০ মুহাররম কারবালার ঘটনা সংঘটিত হয়। হযরত হুসাইন রা. ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে ইয়াজিদের বাহিনী নির্মম ভাবে শহীদ করে দেয়। এই ঘটনা প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। এই নির্মম ইতিহাস উম্মাহর প্রতিটি চোখকেই অশ্রুসিক্ত করে। এই বেদনা ভুলে যাবার নয়। এই কষ্ট মুছে যাবার নয়।
আমরা সেই দিনটির কথা স্মরণ করে মনে ব্যথা পাই। আমাদের হৃদয় চুর্ণ বিচুর্ণ হয়। কিন্তু আমরা সেই শোক ও সেই কষ্টকে প্রকাশ করার জন্য এমন কোনো কাজ করি না, যা আল্লাহ অপছন্দ করেন। শোকের কষ্টকে প্রকাশ করার জন্য আমরা এমন কোনো কাজ করি না, যার কারণে আল্লাহ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন!
মৃত ব্যক্তিদের জন্য শোক প্রকাশার্থে মুখে আঘাত করা, বুক চাপড়ানো, জামা ছিড়ে ফেলা, চিৎকার করে বিলাপ করা, মাতম করা এই কাজগুলো ইসলামে নিষিদ্ধ।
আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গালে আঘাত করে, জামার বুক ছিড়ে ফেলে এবং জাহিলী যুগের মতো চিৎকার করে, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। [সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৯৪]
অন্য একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
أَنَا بَرِيءٌ مِمّنْ حَلَقَ وَسَلَقَ وَخَرَقَ
অর্থাৎ, আমি ঐ ব্যক্তি থেকে মুক্ত, যে শোকে মাথা মুণ্ডায়, বুক চাপড়ায়, কাপড় ছিঁড়ে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৬৭, সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৯৬]
সংক্ষিপ্তাকারে শরিয়তের শিক্ষা এই-
مَهْمَا كَانَ مِنَ العَيْنِ وَالْقَلْبِ، فَمِنَ اللهِ، وَمِنَ الرّحْمَةِ، وَمَا كَانَ مِنَ الْيَدِ وَاللِّسَانِ، فَمِنَ الشَّيْطَانِ
চোখ আর দিল থেকে যা কিছু ঘটে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তা রহমতের অংশ। কিন্তু যা কিছু হাত ও জিহ্বা দিয়ে হয়, তা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১২৭]
অর্থাৎ কেবল চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরা কিংবা পেরেশান হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। এটা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। এটা ঐ রহমতের প্রকাশ, যা আল্লাহ বান্দার হৃদয়ে দান করেছেন। কিন্তু পেরেশানির কারণে যদি মানুষ তার হাত কিংবা মুখ ব্যবহার শুরু করে, তাহলে এটা হয় শয়তানের আনুগত্য থেকে। এতে আল্লাহ তাআলা নারাজ হন।
আশুরা আসলেই কারবালার স্মরণে শিয়া সম্প্রদায়ের শোক প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপরের হাদীসে উল্লেখিত প্রায় সবগুলো কাজই তারা করে থাকে। যেই কাজগুলো করার কারণে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যক্তিকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দলভুক্ত নয় এই মর্মে ধমকি দিয়েছেন, সেই কাজগুলো শিয়া ধর্মের অনুসারীরা বছরের পর বছর ধরে করে আসছে।
কোনো বিপদ-আপদ বা শোককে জিইয়ে রেখে দিনের পর দিন স্মরণ করা ইসলামের রীতি নয়। মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশের ক্ষেত্রে ইসলাম সর্বোচ্চ তিন দিন শোক প্রকাশের অনুমোদন করে। শুধু স্ত্রীর জন্য স্বামীর মৃত্যুতে ইদ্দত পর্যন্ত (গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত অন্যথায় ৪ মাস ১০ দিন) শোক প্রকাশের বিধান রেখেছে। পক্ষান্তরে শিয়া সম্প্রদায় ইসলামের সকল মূলনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে হযরত হুসাইন রা.এর শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শাহাদাতের দিনকে মাতমের দিন বানিয়ে ফেলেছে।
মুসিবতের দিনকে মাতমের দিন বানিয়ে ফেলা একটি জাহেলি পদ্ধতি। কোনো একটা দুঃখজনক ঘটনার স্মরণে যদি মাতম করা ও বছরের পর বছর ঐ দিনে শোক প্রকাশ করা জায়েজ হত, তাহলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের দিনটিকেই তো সর্বাগ্রে মাতমের দিন বানানো হতো! হযরত আবু বকর, ওমর, উসমান, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখ সাহাবীগণের ইন্তিকালের দিনগুলোকে মাতমের দিন বা শোকের দিন বানানো হত। দেখা যেত সারা বছরই মুসলিমদের জন্য কোনো না কোনো মহান ব্যক্তির জন্য মাতম বা শোকের দিন।
ইসলাম এরকম শোক প্রকাশ ও মাতম-আহাজারিকে সমর্থন করে না। শিয়াগণ তাদের আশুরার অনুষ্ঠানগুলোতে যা করে তার প্রায় সবই হাদীসের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও গুনাহের কাজ।
না বুঝে অনেক সরল মনা মুসলিমও তাদের সাথে যোগ দেয়। তারা মনে করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের প্রতি ভালবাসা ও মহব্বত প্রকাশের পদ্ধতি বুঝি এটাই! আল্লাহ আমাদেরকে শিয়াদের ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।
আশুরার দিন শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল, শোকের মাতম
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশুরার দিন শিয়া ধর্মের অনুসারীগণ তাজিয়া মিছিল বের করে। পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হয়- “যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হলো পবিত্র আশুরা দিবস। তাজিয়া মিছিলে কারবালার দৃশ্যায়ন ও শোকের মাতমে মূহ্যমান গোটা শহর!” সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী একটা অনুষ্ঠানকে মুসলিমদের অনুষ্ঠান বলে প্রচার করে অনেক মিডিয়া। মিডিয়াকর্মীরা হয়ত জানেও না, ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে উক্ত আচার-অনুষ্ঠানের দূরতম সম্পর্কও নাই।
আশুরার দিন শিয়া সম্প্রদায় বিভিন্ন শিরকী, বিদআতী ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড পারিচালনা করে। শিয়াদের এই অনৈসলামিক কাজের মহড়া শুরু হয় মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে। শহর জুড়ে দেখা যায় তারা ড্রাম বা ঢোল জাতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, খালি পায়ে, কালো কাপড় পড়ে, শরীরে শিকল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সম্ভবত এই দশদিন তারা গোসল করা ও ঐ বেশভূষা পরিবর্তন করা থেকেও দূরে থাকে।
শিয়া ধর্মের বিভিন্ন শিরক ও বিদআতি আকিদাগুলো এক দিনে সৃষ্টি হয় নি। তারা দিনের পর দিন তাদের উর্বর মস্তিষ্ক (!) থেকে বিভিন্ন বিশ্বাস, আকিদা এবং কর্মপদ্ধতির আবিষ্কার করেছে। এ সম্পর্কে কিছুটা বিস্তারিত বলা হয়েছে ড. রাগেব সারজানীর লিখা শীয়া মতবাদঃ বিবাদ বনাম ভ্রষ্টতা নামক বইতে। উক্ত বইয়ের উপর ‘হাসানের রাফখাতা’ ব্লগে একটি রিভিউ লেখা আছে। আগ্রহী পাঠক চাইলে শীয়া মতবাদঃ বিবাদ বনাম ভ্রষ্টতা বইয়ের রিভিউটি এখান থেকে পড়ে নিতে পারেন। তাহলে তাদের বিভ্রান্ত হওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বিভ্রান্ত আকিদাগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে পারবেন।
আশুরার দিন কারবালার স্মরণে শিয়ারা যে শোকের মাতমে ‘হায় হোসেন! হায় হোসেন!’ করে এটা তাদের জন্মলগ্নে ছিল না। হযরত হুসাইন রা.এর শাহাদাতের প্রায় ৩০০ বছর পর ৩৫২ হিজরিতে মুঈযযুদ দাওলা দাইলামী নামক শিয়া ১০ মুহাররম তারিখে বাগদাদে হযরত হুসাইন রা.এর জন্য মাতম করার নির্দেশ দেয়। এরপর ৩৬৩ হিজরিতে আল-মুঈযযু লিদীনিল্লাহি ফাতিমী নামক বেদ্বীন কট্টর শিয়া মিশরেও উক্ত নির্দেশ জারি করে। সেখান থেকে শিয়াদের শোক মিছিল ও মাতম করার রেওয়াজ চালু হয়।
তাজিয়া মিছিল কী?
তাযিয়া মিছিলের আকিদা ও বিশ্বাসটি সম্পূর্ণভাবে অনৈসলামিক এবং একটি শিরকী আকিদা। তাজিয়া বলতে বুঝানো হয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রাণপ্রিয় নাতি হযরত হাসান রা. ও হযরত হুসাইন রা.এর প্রতীকী কবর।
আশুরার দিন শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা শোকর্যালী বা মিছিলে দুটি কবরের প্রতিকৃতি নিয়ে আসে। সেই প্রতীকী কবর দুটিকে তারা জমকালো করে সাজায়। তাদের অনেকের মধ্যে এই বিশ্বাসও রয়েছে- ঐ কবরে হযরত হাসান রা. ও হযরত হুসাইন রা. অবতরণ করেন। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে ঐ কবরের পাদদেশে তারা মান্নতের বিভিন্ন নজরানা পেশ করে। ঐ কবরগুলোর দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকে। কবরের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ায় ও প্রার্থনা করে। কবর দুটিকে বিশেষ সম্মান করে।
কবরের সাথে তারা বহন করে ঘোড়ার মূর্তি। ইসলামে যেখানে মূর্তি বানানো নিষেধ, সেখানে শিয়ারা নিজেদের মুসলিম দাবি করা সত্ত্বেও তাদের মিছিলে ঘোড়ার মূর্তি বানিয়ে নিয়ে আসে। সেই ঘোড়াও তাদের কাছে বিশেষ সম্মানের। সেই ঘোড়ার গায়ে ও পায়ে তারা বিভিন্ন নিয়তে সুতা বাঁধে, মান্নত করে। অনেককে দেখা যায় শিশুদের কল্যাণ কামনার্থে ঘোড়ার মূর্তির গায়ে হাত বুলিয়ে সেই হাত শিশুদের মাথায় ও শরীরে মুছে দেয়। এর দ্বারা তারা নানাবিধ কল্যাণ কামনা করে।
তাজিয়া মিছিলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও আকর্ষনীয় (!) অংশ সম্ভবত শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত করা এবং ছুড়ি-তলোয়ার ও আগুন নিয়ে বিভিন্ন সার্কাসের কৌশল প্রদর্শন করা। শরীরে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিড়ে, বুক চাপড়ে শোক বা আহাজারি করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। এভাবে শোক প্রকাশকারী এবং যারা এর দর্শক তাদের প্রতি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ দিয়েছেন। তাই আমরা এসকল বিভ্রান্ত কর্মকাণ্ডের মজলিসে বা অনুষ্ঠানের কাছেও যাব না।
তাজিয়া মিছিল বিষয়টি আসলে নানা রকম শিরক, বিদআত, কুসংস্কার ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ে একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এর থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। স্রেফ দেখার জন্য বা মজা নেয়ার জন্যও এরকম কার্যক্রমের কাছে যাওয়াও ঠিক হবে না।
মুহাররমের জারি গান ও বিষাদ সিন্ধু
এক সময় আমাদের দেশের গ্রামেগঞ্জে মুহাররম মাস উপলক্ষে জারি গান, কবিতা, পুঁথি ও বিষাদ সিন্ধু পাঠের আসর বসত। এখনো সেরকম জারি গানের আসর বসে কিনা এ সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। দেশের মুরুব্বি স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক লোকেরই হয়ত কারবালার ইতিহাস সম্পর্কে জানার ভিত্তি হচ্ছে ঐসকল জারি গান, পুঁথি ও বিষাদ সিন্ধু।
পুঁথি সাহিত্য বর্তমানে প্রচলন না থাকলেও স্থানীয়ভাবে জারি গান বা কাছাকাছি ধরনের কিছু গানের চর্চা হয়ে থাকতে পারে। গ্রামেগঞ্জে ভণ্ড পীরের দরবার, মাজার, ওরশ ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে এখনো গানবাজনার মাধ্যমে এরকম ইতিহাস চর্চা হয়ে থাকে। গ্রামের অনেক মানুষই মুহাররম মাসের জারি বা এসব গান থেকে কারবালার বিকৃত ইতিহাস জেনে আসছে। তাই আমাদের উচিত হবে এসকল জারি গান, পুঁথি ইত্যাদিকে ইতিহাস বা সত্য ঘটনা হিসাবে গ্রহণ না করা। বরং সত্যিকারের ইতিহাস জানার জন্য হক্বানী আলেমদের দ্বারস্থ হওয়া। শিয়া সম্প্রদায়ের লিখা ও প্রচার করা বই-বক্তব্য থেকে নিজেদের হেফাজত করা জরুরি। পোস্টের শেষে কারবালার ইতিহাস সংক্রান্ত দুই একটি লিংক দেয়ার চেষ্টা করেছি।
মীর মোশাররফ হোসেনের লিখা বিষাদ সিন্ধু উপন্যাস আমাদের দেশে বিখ্যাত। কারবালার ইতিহাসের কথা আসলেই অনেকে বিষাদ সিন্ধুর কথা নিয়ে আসেন। বিষাদ সিন্ধু আসলে একটা উপন্যাস। কিছুটা সত্য ঘটনার সঙ্গে মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক আজগুবি কাহিনী হচ্ছে বিষাদ সিন্ধু। তাই বিষাদ সিন্ধুকে স্রেফ উপন্যাস বা কল্পকাহিনী হিসাবে উল্লেখ করব। এটাকে পবিত্র গ্রন্থ হিসাবে বিশ্বাস করে এর ভিতরে থাকা কথাগুলোকে ইতিহাস হিসাবে বিশ্বাস করা যাবে না। বিষাদ সিন্ধু পড়ে থাকলে একথা হয়তো আপনিও স্বীকার করবেন যে বইটির আগাগোড়া প্রায় সবটুকুই আজগুবি ও বানোয়াট কথা। তাই আমাদের বিশ্বাসের জায়গাটি পরিশুদ্ধ রাখা কাম্য।
এ বিষয়ে আরো জানতে নিচের লিংকগুলো ভিজিট করুন:
প্রবন্ধের লিংক:
- মুহাররম ও আশুরা – কিছু কথা ও কিছু প্রশ্নের উত্তর – মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
- মুহাররম ও আশুরা : গুরুত্ব ও ফযীলত – মাসিক আলকাউসার
- আশুরা ও মুহাররমঃ কিছু কথা – মাসিক আলকাউসার
- মুহাররমের প্রথম দশ দিন রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা
- আহলে বাইতের দৃষ্টিতে মাতম [শিয়াদের বর্ণনার আলোকে] – মাসিক আলকাউসার
- স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর শোক পালনের সময়কাল – মাসিক আলকাউসার
- একটি ভুল ধারণা : মুহাররম মাসে বিবাহ করা কি অশুভ
ইউটিউব ভিডিও এর লিংক:
Comments (11)
Qawmikolom.comsays:
July 18, 2023 at 12:49 PMজাযাকাল্লাহ অনেক উপকারী পোস্ট, ধন্যবাদ
মো: শাহিন মোল্লাsays:
July 18, 2023 at 10:06 PMমাশাআল্লাহ খুব সুন্দর পোস্ট। মহান আল্লাহু তাআলা যেন আমাদের কে দ্বীনদার হিসাবে কবুল করেন। আমিন
Mohe Uddinsays:
July 18, 2023 at 10:38 PMশোকরান, জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ্-দারাইন।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী পোস্ট, বিষয়গুলো সম্পর্কে সবার জানা উচিত।
সাইদী আহমেদsays:
July 21, 2023 at 3:42 PMআল্লাহ আমাদের এই সব ভন্ডামি থেকে দুরে রাখুন আমিন
সাইদী আহমেদsays:
July 21, 2023 at 3:45 PMআল্লাহ্ আমাদের এসব ভন্ডামী থেকে দুরে রাখুন
সবাই বলেন আমিন
Md Al-fahat Talukdarsays:
July 22, 2023 at 11:29 AMজাযাকাল্লাহু খায়রান ফিদ্-দারাইন। খুবইগুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী পোস্ট। এই বিষয়ে আমাদের সকলের জানা দরকার। আমিন।
Mamunsays:
July 24, 2023 at 4:21 AMthanks for delivered a clear concept
Akashsays:
July 24, 2023 at 5:03 PMJajakalla Khairon. Khub important akta post
maruf miyazisays:
July 29, 2023 at 7:50 PMমাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট।
Tahsin Ahmad Nuhansays:
July 29, 2023 at 8:14 PMJajakallahu khir..
আল মামুনsays:
July 29, 2023 at 9:50 PMআল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন, আমরা যেন আ
ল্লাহ ও আল্লাহুর রাসূলের ভালোবাসা হৃদয়ে ধারণ করতে পারি, আমিন।
Syed Sabit Ullahsays:
July 11, 2024 at 6:44 PMজাযাকাল্লাহু খায়রান
মিহাদsays:
July 12, 2024 at 2:38 PMআলহামদু লিল্লাহ। কত ভাইয়েরা কত ভাবে দ্বীনের খেদমত করছে। আমি কি করছি?😥
Amhfhsays:
July 16, 2024 at 8:22 PMThanks
মোঃ মিজানুর রহমানsays:
July 25, 2024 at 5:28 AMআল্লাহ সবাইকে সঠিক জেনে আমল করার তৌফিক দান করুন – আমিন