Post Updated at 7 Aug, 2024 – 4:54 PM

মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়কালে পড়েছিলেন :

اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ اَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْاَحْزَابَ وَحْدَهُ

 

অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি স্বীয় ওয়াদা বাস্তবায়ন করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং সকল বাহিনীকে একাই পরাজিত করেছেন।

জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে অনুসারীদের পুরো দল নিয়ে চলে যেতে হয়েছিল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। আপনজনেরাই তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদের থাকতে দেয়নি মক্কায়। কিন্তু এর আট বছরের মাথায় তিনিই আবার মক্কায় প্রবেশ করলেন—বিজয়ী নেতা হিসেবে, হাজার হাজার অনুসারী সঙ্গে করে। ইতিহাস সেদিন দেখেছিল এক অপূর্ব বিজয়। এমন বিজয়ের ইতিহাস পরবর্তী কোনো কালেও নেই।

আজকে (৫ আগস্ট ২০২৪) বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শাসনের পতনে পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি বারবার মনে পড়ছে—

قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِی الْمُلْكَ مَنْ تَشَآءُ وَ تَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَآءُ ؗ وَ تُعِزُّ مَنْ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنْ تَشَآءُ ؕ بِیَدِكَ الْخَیْرُ ؕ اِنَّكَ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ  ۝۲۶

অর্থ : বলো, হে আল্লাহ! সকল রাজ্যের মালিক! আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন, যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, আপনার হাতেই তো কল্যাণ, নিশ্চয় আপনি সর্বশক্তিমান। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬]

জুলুমের অবসান

৫২র ভাষা আন্দোলন যারা দেখেনি, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান যারা দেখেনি, দেখেনি ৭১এর মুক্তিযুদ্ধ, এমনকি দেখেনি ৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনও, আজকের বাংলাদেশের সে তরুণ-যুবারা বলতে পারবে—আমরা ২০২৪ সৃষ্টি করেছি; স্বৈরাচারের পতন আমরা দেখেছি, দেখিয়ে দিয়েছি। ছাত্র-জনতার গণজোয়ারে পতন হলো এক স্বৈরাচারী শাসকের। দিনটি ৫ আগস্ট ২০২৪।

এ বছরেরই ১১ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেছিল শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। টানা চতুর্থবারের মতো তারা সরকার গঠন করেছিলেন। শেখ হাসিনা ছিলেন পঞ্চমবারের (এবং টানা চতুর্থবারের) প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেশে যেহেতু বাস্তবিক অর্থে প্রধানমন্ত্রীই মূল ক্ষমতার অধিকারী, তাই বলা যায়, শেখ হাসিনাই ছিলেন এ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব। টানা পনের বছর ধরে যখন কেউ ক্ষমতায় থাকে, তখন সে ক্ষমতা যে কতটা পাকাপোক্ত হয়ে যায়, তা তো বলাবাহুল্য। এর পাশাপাশি তা যদি হয় অন্যায়ভাবে ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখা, তাহলে তো শক্তি নিয়ে কারোরই কোনো সন্দেহ থাকে না। সে শক্তিতে তখন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে জালেমের জুলুম আর মাজলুমের ফরিয়াদ।

বাংলাদেশের গত পনের বছরের ইতিহাসও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। কিন্তু ঐ যে আল্লাহ তাআলা বলেছেন—তিনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দিয়ে থাকেন, যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন! মাসখানেক আগে যখন ছাত্রদের কোটাসংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়, তখন তো সরকার পতনের কোনো ইস্যুই ছিল না। অথচ সে আন্দোলনেই মাত্র এক মাসের মাথায় পতন ঘটল সরকারের! আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে বলা যায়—মাত্র তিন দিনের আন্দোলনেই পতন ঘটল শেখ হাসিনা সরকারের! কে ভেবেছিল, গত রাতেও যাদের কণ্ঠে ছিল দাম্ভিকতার ছড়াছড়ি, মাত্র ১২-১৫ ঘণ্টার ব্যবধানেই পুরো দুনিয়া উল্টে যাবে তাদের!

মানুষের উচ্ছাস

স্বৈরাচারী সরকারের এ পতনকে ছাত্র-জনতা নাম দিয়েছে স্বাধীনতা! ভাবা যায়—সরকার কর্তৃক কতটা জুলুমের শিকার হলে সরকারপতনে একটি স্বাধীন দেশের কোটি কোটি জনসাধারণ রাস্তায় নেমে উচ্ছাস করতে পারে আর সে পতনকে তারা নাম দিতে পারে স্বাধীনতা! স্বাধীনতা তো ছিলই, তবে আবার কীসের স্বাধীনতা? এ স্বাধীনতা জুলুম থেকে মুক্তির স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা নিরাপত্তার স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেবার স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলার স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা। সরকার পতনের চূড়ান্ত ঘোষণা তখনো হয়নি, আলামত দেখেই মানুষ নেমে গেছে রাস্তায়। গণভবন অভিমুখে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকতেন; জাতীয় সংসদ অভিমুখে এবং শাহবাগ ও শহীদ মিনার অভিমুখে, যেখান থেকে এবারের আন্দোলনের সূচনা হয়। মানুষের মুখে মুখে শ্লোগান—হই হই রই রই, খুনি হাসিনা গেলি কই! আরও কত কী!

কত কথা, কত ব্যথা

পনের বছরের শাসনে আওয়ামী লীগ সরকার জুলুম তো কম করেনি। পেছনে ফিরে গেলে তো তালিকা অনেক দীর্ঘ হবে। গত তিন দিন আগে, শুক্রবারের জুমার বয়ানের পরও অপসারণ করা হলো খতীব সাহেবকে, দুআ করার অপরাধে গ্রেফতার করা হলো মসজিদ কমিটির সভাপতিকে। কত মানুষ গুম হলো এ সোয়া যুগের শাসনামলে, অন্যায় হত্যার শিকার হলো কত মানুষ, নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তিকে ফাঁসি দেয়ার জন্যে সংসদে আইন পরিবর্তন করা হলো, কারাবন্দী হলো কত নিরপরাধ মানুষ! মোটা দাগের দুটি বিষয় এখন সামনে আছে—এক. মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল, দুই. সরকারী দলের নেতাকর্মীদের একপ্রকার অনুকম্পা নিয়েই যেন জীবন কাটাতে হচ্ছিল আমজনতার।

সর্বত্র তাদেরই দাপট। সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কোনো কথা বলা যেত না, সরকারবিরোধী দলের সদস্য যারা, তারা ঠিকমতো ঘুমুতেও পারত না। এই সেদিনও মৃত মানুষের নামে মামলার কথা পড়লাম পত্রিকার পাতায়। এক ভাইয়ের অপরাধে আরেক ভাই গ্রেফতার হয়। আরও কত শত অন্যায়! এ কারণেই আজকের ঢাকাবাসী এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইল। শেখ হাসিনার পদত্যাগের আভাস পেয়েই তারা আনন্দ মিছিল বের করল। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে এমন আনন্দ মিছিল আমাদের দেশের ইতিহাসে বিরল হওয়ারই কথা।

ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়, কেউ নেয় না

আজকে অবশ্য ইতিহাসের নতুন কোনো অধ্যায় রচিত হয়নি। পুরোনো ইতিহাসটাই একটু নতুন করে লেখা হয়েছে মাত্র। যুগে যুগে দেশে দেশে জালেম শাসকদের পরিণতি এমনই হয়ে থাকে। জালেম শাসকের কথা এলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নাম আমাদের সামনে চলে আসে। আসে আরও আগের ফেরাউনের নামও। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এমন অনেক ফেরাউন আর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ অতিক্রান্ত হয়েছে। পরিণতি সবারই অভিন্ন। জুলুমের পরিণতি এমনই হয়। ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয়, তারা সে আলোকেই তাদের জীবন গড়ে। জালেম শাসকের পরিণতি দেখে শিক্ষা যে নেবে, তার শাসন হবে জুলুমমুক্ত শাসন, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক শাসন। কিন্তু খুব কম শাসকই সাধারণত এ শিক্ষা গ্রহণ করে। ক্ষমতায় গেলে মানুষ ভুলে যায়—এ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। কিংবা মনে করে—জুলুমের পরিণতি তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না, তারাও অবশেষে জালেমদের ইতিহাসের অংশই হয়ে যায়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এ এক রেকর্ড

বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে অনেক শাসকের পালাবদল হয়েছে। আজকের শেখ হাসিনাও এর আগে ক্ষমতা ছেড়েছেন। ক্ষমতা ছাড়ার পরপরই আবার নির্বাচন করেছেন। সেখানে পরাজিত হলেও পরবর্তী নির্বাচনেই আবার জয়ী হয়েছেন। নব্বইয়ের এরশাদসরকারেরও পতন হয়েছিল এমন আন্দোলনের মুখে। কিন্তু কোনো সরকারপ্রধানই ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার আগে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। গত রাতে যিনি দাপুটে প্রধানমন্ত্রী, আজকে তাকে নিয়ে সংবাদ লেখা হচ্ছে— দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী! একটানা এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড যেমন তার, দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থেকে দেশের অনেক উন্নয়নের রেকর্ডও তার, একইভাবে জুলুম আর অন্যায়ের রেকর্ড এবং ক্ষমতা ছাড়ার সময় এভাবে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ডও একমাত্র তারই! আমি ঠিক জানি না—উপমহাদেশের ইতিহাসে এ রেকর্ড একমাত্রই তার কিনা!

কৃতিত্ব যাদের

আজকের এ বিজয়ের মূল কৃতিত্ব এ দেশের ছাত্রদের। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নির্যাতিত জনতা। এ ছাত্রজনতার জোয়ার ঠেকাতে পারেনি জালেম সরকারের কোনো কারফিউ। সরকার কারফিউ দিয়েছিল, সরকারদলীয় বাহিনী মাঠে নেমেছিল, গতকালের সংঘাতে একদিনেই প্রাণ হারাল শতাধিক মানুষ, আর পুরো আন্দোলনে নিহতদের সংখ্যা এর তিন-চারগুণ হতে পারে। কিন্তু মানুষের মনে যখন মৃত্যুভয় থাকে না, তখন কোনো বাঁধাই আর কাজে আসে না। আজকেও তাই হলো। গতকালের শতাধিক মৃত্যু আর আজকের কারফিউ—কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি ছাত্রজনতাকে। পতন হলো জালেমের। বিজয় হলো নিপীড়িত জনতার।

যারা জীবন দিয়েছেন

বাংলাদেশের ইতিহাসে গত কয়েকদিনে ঘটে গেছে কয়েকটি নির্মম হত্যাকা-। রংপুরের আবু সাইদ থেকে শুরু। বুক টান করে হাতে একটি লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কাপুরুষের মতো গুলি করে তাকে শহীদ করা হলো। এভাবে শত শত মানুষ শহীদ হলেন। আজকের বাংলাদেশের যে বিজয়, যে নতুন স্বাধীনতা, সেখানে তাদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

আসুন, কৃতজ্ঞ হই, দুআর কথা ভুলে না যাই

স্বাধীনতা—মানুষের জন্যে আল্লাহ তাআলার এক বড় নেয়ামত। এ স্বাধীনতা যখন থাকে না, তখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় এর মূল্য। নানা ক্ষেত্রে আমরা এ স্বাধীনতাহীনতা টের পেয়েছি প্রচন্ড ভাবে। অনেক রক্ত ঝড়িয়ে, অনেক মায়ের বুক খালি করে সে স্বাধীনতার বাতাস আবারও বইতে শুরু করেছে। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না—প্রতিটি নেয়ামতের জন্যেই বান্দার উচিত আপন প্রতিপালকের দরবারে কৃতজ্ঞতায় নতশির হওয়া। জালেম শাসকের বিদায়ে আমরা স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, আমাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়িত হয়, শাসনক্ষমতা যেন বিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের হাতে অর্পিত হয়, এবং এ স্বাধীনতা যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়, সে জন্যে প্রয়োজন কৃতজ্ঞতায় নতশির হওয়া। নিজেদের বীরত্বের বড়াই নয়, মুমিন তো সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের স্বীকারোক্তি দিয়ে থাকে। তিনিই তো সবকিছুর মালিক। তাঁর ইচ্ছার বাইরে কে কবে কিছু করতে পেরেছে!

আরেকটি কথা—বিজয়ের মুহূর্তে প্রতিহিংসাপরায়ন ও প্রতিশোধপরায়ন না হওয়া এবং দেশের সম্পদ নষ্ট না করাটাও অবশ্যই জরুরি। আবেগতাড়িত হয়ে অনেকেই আমাদের জাতীয় অনেক সম্পদের ক্ষতি করছেন। কে না জানে, এগুলো পরবর্তীতে আমাদের টাকা দিয়েই আবার ঠিক করা হবে! তাই আসুন, দেশের সম্পদ রক্ষা করি, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। সর্বোপরি একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে নিজের জীবন গড়ে তুলি।

 

Comments
  1. Yes, you’re right….

  2. সত্যি অসাধারণ

  3. সময়োপযোগী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চমৎকার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন…
    আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদিন দিক,আমিন।

  4. আলহামদুলিল্লাহ। তবে এই বিজয় যেন ছাত্র জনতার হাতেই থাকে, অতীতের পুরানো কোন প্রমাণিত দূর্নীতিবাজ ও অত্যাচারী শাসকের হাতে চলে না যায় । আজ দেশজুড়ে যে ভয়ঙ্কর লুটপাট, জ্বালাও-পোড়াও, নিরীহ মানুষ হত্যা , ভাংচুর চলছে তাতে ভয় হয় এ বিজয় কাদের হাতে চলে যেতে চলেছে। সবাই নির্বাচনের জন্যে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে নির্বাচন সকল সমস্যার সমাধান নয়। এই আওয়ামী লীগ সরকার কিন্তু প্রথমে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিজের মতো ধ্বংস করে স্বৈরাচারী সরকারের রুপ ধারণ করেছে। সুতরাং নির্বাচনের চাইতেও দেশে সর্বক্ষেত্রে সত্যিকারের সংস্কার প্রয়োজন। যা একটি আপতকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দ্বারাই সম্ভব, যার মেয়াদ প্রয়োজন মতো দীর্ঘ মেয়াদি হলেও সমস্যা নেই।

  5. Awesome written 🌼🖤

  6. অসাধারণ সুন্দর মা শা আল্লাহ। এই এপস এ দ্বীনি বিষয়ের সাথে সাথে বর্তমান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নিউজ যদি দেয়া হয় আলাদা ফোল্ডার করে। ইং শা আল্লাহ অনেক উপকার হবে।

    ****ফেসবুক গুজবে কেউ কান দিবোনা। সত্যতা যাচাই ছাড়া, উপকারী পোস্ট ছাড়া নেগেটিভ বা হুট্ করেই কোনো সমালোচনা মূলক কিছু শেয়ার বা পোস্ট করবনা।

    ****দ্বীনি ভাই বোনেরা ফেসবুকে বেদ্বীন বা নামে মুসলিম ভাই বোনদের কমেন্টে বা পোস্টে ইসলাম বুঝাবেন না, নিয়মিত সময় নিয়ে দাওয়াত দিবেন অফলাইনে বা ইনবক্সে।

    সারাদিন ফেসবুকে না থেকে বিশ্বস্ত নিউজ চ্যানেল এর নিউজ দেখবো। বর্তমানে যমুনা নিউজ ই বেস্ট মা শা আল্লাহ।

    এতে সময় বাঁচবে, কিতাব পড়ুন। মুসলিম ডে’র ব্লগ পড়ুন।

  7. চমৎকার লিখনি। বারাকাল্লাহু ফিক🌿

  8. যারা এই আন্দোলনে মারা গেল তাদের একিভাবে শহীদের কাতারে দেখছেন?
    তারা কি ইসলামিক দৃষ্টিতে আসলেই শহীদ?

    1. যারা অন্যায়ভাবে নিহত হয়, নিজের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, শরিয়তের দৃষ্টিতে তারা সকলেই শহীদ। এ আন্দোলনেও যে সকল মুমিন নিজেদের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন তারা শহীদ।

  9. আপনাদের লেখা গুলো পরবর্তিতে কি ভাবে পাবো??

    1. আমাদের ব্লগ সাইটে সকল লেখাই রয়েছে। এই ঠিকানায় ভিজিট করলে সকল লেখা পড়তে পারবেন: https://muslimsday.com/

  10. আল্লাহ সহায় হইছে আর দূর করে দিছেন বিপদ

  11. স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার পতন হয়েছে।জালিম রক্ত পান কারি ড্রাকুলা থেকে মুক্ত স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ এর নির্যাতিত জনতা। আলহামদুলিল্লাহ

  12. আসলে কি মুসলিমস ডে এর মত এত সুন্দর একটা ইসলামিক অ্যাপসের কাছে এত বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে এভাবে একতরফা ভাবে একটি মতের পক্ষে মতামত প্রদান করাটা আমার কাছে সমীচীন মনে হয় নাই।
    শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী হয়ে থাকলে ৩২ নম্বর বাড়িতে এবং গণভবনে যে ধ্বংসযজ্ঞ লুট পাট (শেখ হাসিনার অন্তর্বাস নিয়ে আনন্দ করা) চালানো হলো, শেখ হাসিনা পরবর্তী সারা বাংলাদেশব্যাপী আওয়ামী লীগ করা মানুষের উপর যে হত্যাযজ্ঞ, genocide করা হলো তার পক্ষে-বিপক্ষে আপনাদের মতামত আশা করছি। সর্বোপরি একটি অন্যায়কে প্রতিহত করতে আমরা কি আরেকটি অন্যায় করতে পারি বা করা উচিত ‌?

    মুসলিমস ডে-র কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর এর জন্য অপেক্ষা করছি।

    1. অবশ্যই, ভাই, আমরাও লুটপাট ও অন্যায় হত্যাযজ্ঞের নিন্দা করি। জুলুম যে-ই করুক, সবই জুলুম। একটি স্বতন্ত্র পোস্টে আমরা সে বিষয়ে আলোকপাত করেছি। পড়তে ক্লিক করুন: মুমিনর বিজয় উদযাপন : কী করব, কী করব না

  13. স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার পতন হয়েছে। এই জালিম সরকারের থেকে দেশ মুক্ত স্বাধীন হয়েছে। এই জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

  14. আলহামদুলিল্লাহ,, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ….
    আল্লাহ আমাদের এ বিজয় দীর্ঘস্থায়ী করুন..
    আমাদের সুন্দর একটি স্বপ্ন আছে,,এদেশকে নিয়ে সেইটা কবুল করুন।

  15. আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহই উত্তম পরিকল্পনাকারী।।।আমরা আমাদের জায়্গায় নিজেকে নিয়েও কাজ করবো।কারন ভদ্রতা জনে জনে শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়।মনে রাখা উচিত স্বাধীনতা অর্জন থেকে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।। জাজাকাল্লাহ খাইরান

  16. মাশাআল্লাহ সুন্দর একটি পোস্ট

  17. InshAllah Palestine will be victorious soon

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ