Post Updated at 20 May, 2023 – 2:57 PM

হজের ইহরাম

[ওমরা আদায়ের ধারাবাহিক পদ্ধতি শীর্ষক লেখাটিতে আমরা বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়ে ওমরা আদায় করা এবং এরপর থেকে হজের আমলসমূহ শুরু করার পূর্বপর্যন্ত সময়গুলো কীভাবে কাটাবেন, সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এ লেখাটিতে হজের ধারাবাহিক আমলসমূহ বর্ণনা করা হবে।]

 

৮ জিলহজ থেকে হজের মূল কাজ শুরু হয়। সেদিন মিনায় রওয়ানা হওয়ার আগে হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধতে হয়।

ইহরাম কোত্থেকে বাঁধতে হবে

যারা ওমরা শেষ করার পর হালাল হয়ে মক্কা মুকাররমাতেই অবস্থান করবেন, তারা নিজ বাসা থেকে কিংবা হারাম শরীফ থেকে ইহরাম বাঁধবেন। আর যারা ওমরা করার পর মদীনা মুনাওয়ারায় চলে যাবেন, এরপর হজের কাছাকাছি সময়ে মদীনা থেকে রওয়ানা করবেন, তারা মদীনার মিকাত অর্থাৎ যুলহুলায়ফা থেকে হজের ইহরাম বাঁধবেন। যুলহুলায়ফাকে বীরে আলীও বলা হয়।

কেউ চাইলে মদীনার বাসা থেকে কিংবা মসজিদে নববী থেকেও ইহরাম বাঁধতে পারেন। অবশ্য কেউ চাইলে মদীনা থেকে আসার সময় ওমরার ইহরাম বেঁধে এসে আবার একটি ওমরা করতে পারেন, এরপর ওমরার ইহরাম থেকে হালাল হয়ে মক্কা মুকাররমার বাসা থেকে কিংবা হেরেম থেকে হজের ইহরাম করতে পারেন। তবে মদীনা থেকে আসার সময় হজ ও ওমরার ইহরাম একসঙ্গে করা যাবে না।

হজের ইহরামও ওমরার ইহরামের মতোই। গোসল করুন। ইহরামের কাপড় পরুন। শরীরে আতর লাগান। এরপর (যদি নফল নামাজের সময় থাকে) দুই রাকাত নামাজ আদায় করুন। নামাজ শেষে হজের নিয়ত করুন এবং তালবিয়া পড়ুন। এতেই ইহরাম বাঁধা হয়ে যাবে।

 

হজ ও ওমরা আদায়ের ধারাবাহিক ও বিস্তারিত বর্ণনার লেখাগুলোকে একত্রে পিডিএফ আকারে পড়তে পারেন। PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।

 

হজের নিয়ত

এভাবে হজের নিয়ত করুন—হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্যে হজের ইচ্ছা করেছি; আপনি আমার জন্যে তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।

তালবিয়া

হজের তালবিয়া ওমরার তালবিয়ার মতোই। ইহরামের পর থেকে বেশি বেশি তালবিয়া পড়ুন। ১০ জিলহজ পাথর নিক্ষেপের আগ পর্যন্ত তালবিয়া পড়ার সময়।

[এ লেখার পরের অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন]

Comments
  1. মদিনা থেকে আজিজিয়াতে পৌঁছে সেখান থেকে কি হজের জন্য এহরাম বাঁধা যাবে ? নাকি মদিনা থেকেই হজের এহরাম বাঁধতে হবে ?

    1. কেউ যদি আজিজিয়াতে আগে থেকেই অবস্থান করে, তবে সে সেখান থেকেই হজের ইহরাম করতে পারবে। কিন্তু মদীনা থেকে মক্কায় বা আজিজিয়ার ‍উদ্দেশ্যে আসার সময় তো অবশ্যই ইহরাম পরে আসতে হবে। হয়তো হজের ইহরাম, অথবা উমরার ইহরাম। কেউ চাইলে উমরার ইহরাম করে মক্কায় এসে উমরা করার পর আজিজিয়া থেকে হজের ইহরাম করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ