Post Updated at 24 Feb, 2024 – 12:54 PM

সাহরির সময় যখন শেষ হবে, তখন থেকেই রোজা শুরু হবে। রোজা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্যে এ শেষ সময়ের আগেই সাহরি খাওয়া শেষ করা জরুরি। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি কেউ সাহরি খেতে থাকে, তবে রোজা হবে না। আবার সময় শেষ হওয়ার অনেকক্ষণ আগেই কেউ যদি সাহরি খাওয়া শেষ করে দেয়, পরবর্তীতে সেও চাইলে সাহরির সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত কিছু খেতে পারবে। রোজা শুরু হবে সাহরির সময় শেষ হওয়ার পর থেকেই।

সাহরির এ শেষ সময় যে সুবহে সাদিক, এ নিয়ে তেমন কোনো দ্বিমত নেই। বিষয়টি প্রমাণিত পবিত্র কুরআনে কারীমের আয়াত, হাদীসের বর্ণনা এবং উম্মাহর সুদীর্ঘ সময়ের অবিচ্ছিন্ন আমলের মাধ্যমে। এতসব প্রমাণের পরও যদি কেউ ইজমাবিরোধী বিচ্ছিন্ন কোনো মত নিয়ে পড়ে থাকতে চায় কিংবা নতুন কোনো গবেষণা উপস্থাপন করতে চায়, যা দেড় হাজার বছর ধরে চলে আসা আমল ও ধারণার পরিপন্থী, তবে তা গ্রহণ করা কোনো সুস্থ বিবেকের কাজ হতে পারে না- এ তো বলাবাহুল্য।

 

সাহরির শেষ সময় নিয়ে পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা এমন-

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ

অর্থ : তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ তোমাদের সামনে (রাতের) কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্ট না হয়। এরপর তোমরা রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো। [সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৭]

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুজতাহিদ ফকীহ ও মুহাদ্দিসগণের প্রায় সকলেই একমত- এখানে সুবহে সাদিকের কথা বলা হয়েছে। সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত সাহরি খাওয়া যাবে। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে রোজা শুরু হয়, খাওয়ার সময় শেষ হয়ে যায় এবং ফজেরর নামাজের সময় শুরু হয়। ইমাম আবু জাফর তাবারী রহ. (মৃত্যু ৩২০ হিজরি) বলেছেন :

الخيط الأبيض من الفجر يتبين عند ابتداء طلوع أوائل الفجر، وقد جعل الله تعالى ذكره ذلك حدًّا لمن لزَمه الصوم في الوقت الذي أباح إليه الأكل والشرب والمباشرة.

অর্থ : সুবহে সাদিকের যখন শুরু, তখনই ভোরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়। আর যে রোজা রাখতে চায় তার জন্যে আল্লাহ তাআলা একেই  পানাহার ও স্ত্রী-সহবাসের সীমা নির্ধারণ করেছেন। [তাফসীরে তাবারীর উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য]

ইমাম ইবনে কাসীর রহ. (মৃত্যু ৭৭৪ হিজরি) বলেছেন :

وفي إباحته تعالى جوازَ الأكل إلى طلوع الفجر، دليل على استحباب السَّحُور

অর্থ : আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিকের উদয় পর্যন্ত পানাহার করাকে বৈধ করেছেন। এ বিষয়টা সাহরি খাওয়া মুসতাহাব হওয়ার দলিল। [উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য]

তাফসীর হাদীস ও ফেকাহ গ্রন্থের উদ্ধৃতি এখানে অনেক দেয়া যাবে। এ কথা সর্বজনস্বীকৃতই ছিল- সাহরির শেষ সময়ের সম্পর্ক সুবহে সাদিকের সঙ্গে, ভোরের শুভ্র রেখা বা আলো প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে, আজানের সঙ্গে নয়

এ কথা বলাবাহুল্য, সুবহে সাদিক হলেই যেহেতু সাহরির সময়ও শেষ হয় এবং ফজরের নামাজের সময়ও শুরু হয়, তাই তখন ফজরের আজানও দেয়া হয়। সে হিসেবে এটাই স্বাভাবিক, যখন ফজরের আজান দেয়া হবে, তখন আর সাহরি খাওয়া যাবে না। কিন্তু তাই বলে ফজরের আজান সাহরির সময় শেষ হওয়ার সীমা নয়। সাহরির সময় শেষ হবে সুবহে সাদিক হলে। কেউ যদি ভুলবশত ফজরের আজান সুবহে সাদিকের আগেই দিয়ে দেয়, তবে তার সে আজান হবে কিনা, না নতুন করে আবার ফজরের সময় হলে অর্থাৎ সুবহে সাদিকের পর আজান দিতে হবে, সেটা এক ভিন্ন প্রসঙ্গ। কথা হলো, ভুলবশত কেউ যদি ফজরের সময় হওয়ার আগেই আজান দিয়ে দেয়, তবে তখনই কি সাহরির সময় শেষ হয়ে গেছে বলে ধরে নেয়া হবে? না, তা নয়। ভুলবশত সুবহে সাদিকের আগে ফজরের আজান দিলে সে আজানের পরও সাহরি খাওয়া যাবে, কোনো অসুবিধা নেই। বিষয়টি প্রমাণিত সহীহ বুখারীর হাদীস থেকেই-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : إِنَّ بِلاَلاً يُنَادِي بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ.

অর্থ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : বিলাল তো রাতে  আজান দেয়। তাই তোমরা পানাহার করতে পার, যতক্ষণ না ইবনে উম্মে মাকতুম  আজান দেয়। [হাদীস নং ৬২০د

আরেকটি হাদীস, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

لاََ يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ ، أَوْ أَحَدًا مِنْكُمْ – أَذَانُ بِلاَلٍ مِنْ سَحُورِهِ ، فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ ، أَوْ يُنَادِي – بِلَيْلٍ

অর্থ : বিলালের আজান যেন তোমাদের কাউকে সাহরি থেকে বিরত না রাখে। সে তো রাতেই আজান দিয়ে দেয়। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২১]

এখানে বক্তব্য তো স্পষ্ট- বিলাল রা. সুবহে সাদিক হওয়ার আগেই আজান দিয়ে দিতেন। অথচ তখন রাত শেষ হত না। আর ইবনে উম্মে মাকতূম রা. ছিলেন এক অন্ধ সাহাবী। অন্যদের কাছে জিজ্ঞেস করে যখন তিনি নিশ্চিত হতেন- সুবহে সাদিক হয়ে গেছে, তিনি তখনই আজান দিতেন। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে বলে দিয়েছিলেন- বিলালের আজান শুনে তোমরা সাহরি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ো না। ইবনে উম্মে মাকতূম যতক্ষণ আজান না দেয়, ততক্ষণ সাহরি খেতে পার। বোঝা গেল, সাহরির শেষ সময়ের সম্পর্ক আজানের সঙ্গে নয়, সুবহে সাদিকের সঙ্গে। কথাটি আমরা এভাবেও বলতে পারি- আজান যদি সময়ের আগে দেয়া হয়, তবে সে আজানের পরও সুবহে সাদিক পর্যন্ত সাহরি খেতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আজান যদি সুবহে সাদিকের পর দেয়া হয়, তবে সে আজানের পর আর সাহরি খাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার পরও যদি আজান দিতে বিলম্ব হয়, কিংবা কেউ আজান না শোনে, তবে সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আজান শোনা যায়নি কিংবা এখনো আজান হয়নি এ অজুহাতে সাহরি খাওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ তখন সাহরি খায়, তাহলে তার ওপর কাযা ও কাফফারা- উভয়টিই ওয়াজিব হবে।

সুনানে আবু দাউদের একটি হাদীস বাহ্যত এ সর্বজনস্বীকৃত মতের বিপরীত। কিন্তু মুহাদ্দিসীন ও ফকীহগণের দৃষ্টিতে এতে  তেমন কোনো বৈপরীত্য নেই। তারা পবিত্র কুরআনের আয়াত, অন্য আরও অনেক হাদীস এবং মুসলিম উম্মাহর কর্মপন্থা দিয়ে এ হাদীসের ব্যাখ্যা করেছেন। হাদীসটি এমন :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : إِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ النِّدَاءَ وَالإِنَاءُ عَلَى يَدِهِ ، فَلاَ يَضَعْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ مِنْهُ.

অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন আজান শোনে আর পাত্র তার হাতে থাকে, তখন সে যেন নিজ প্রয়োজন পূর্ণ করার আগে পাত্রটি না রাখে। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫০]

যদি কেউ সাহরি সংক্রান্ত কেবল এ  হাদীসটিই পড়ে এবং অন্য সকল হাদীসকে এড়িয়ে যায়, তবে সে হয়তো বলবে- ফজরের আজান যখন শোনা যায়, তখনও যদি কারও সাহরি খাওয়া শেষ না হয়, তাহলে সে তার চাহিদা পূর্ণ করা পর্যন্ত সাহরি খেতে পারবে, এতে রোজার কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু মনে রাখার মতো বিষয় হলো, ইসলামের প্রায় দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে আরব-আজমে স্বীকৃত বরেণ্য কোনো আলেম এ মাসআলা বলেন না- আজান শোনার পরও যতক্ষণ পেট না ভরে, ততক্ষণ সাহরি খাওয়া যাবে! বরং তারা সকলেই একমত, সুবহে সাদিক যখন হয়, যখন ভোরের আলো দেখা যায়, কুরআনের ভাষায়- যখন ভোরের শুভ্র রেখা প্রতিভাত হয়, তখনই সাহরির সময় শেষ হয়ে যায়। এরপর আর সাহরি খাওয়ার সুযোগ থাকবে না। আজান শোনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য লক্ষ করুন-

১. ইমাম বায়হাকী রহ. এ হাদীস বর্ণনা করার পর লিখেছেন :

وَهَذَا إِنْ صَحَّ فَهُوَ مَحْمُولٌ عِنْدَ عَوَامِّ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّهُ -صلى الله عليه وسلم- عَلِمَ أَنَّ الْمُنَادِىَ كَانَ يُنَادِى قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ بِحَيْثُ يَقَعُ شُرْبُهُ قُبَيْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ… وَقَوْلُ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- :« إِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ النِّدَاءَ وَالإِنَاءُ عَلَى يَدِهِ ». خَبَرًا عَنِ النِّدَاءِ الأَوَّلِ

অর্থ : এটা যদি সহীহ হয় তবে আমভাবে আলেমগণের নিকট এর অর্থ হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন, মুয়াযযিন সুবহে সাদিকের পূর্বেই আজান দেয়, যেন কেউ সাহরি খেতে চাইলে সুবহে সাদিকের আগেই সে পানি খেয়ে শেষ করতে পারে। … এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরোক্ত হাদীস প্রথম আজান প্রসঙ্গেই। (এরপর তিনি এ ব্যাক্ষার সপক্ষে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেছেন।) [বায়হাকী, আসসুনানুল কুবরা, হাদীস ৮২৭৬, হায়দারাবাদ দাইরাতুল মাআরিফ থেকে প্রকাশিত, শামেলা সংস্করণ]

২. মিশকাতুল মাসাবিহ-এর সুপ্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলী কারী রহ. লিখেছেন :

وَهَذَا إِذَا عَلِمَ أَوْ ظَنَّ عَدَمَ الطُّلُوعِ، وَقَالَ ابْنُ الْمَلَكِ: هَذَا إِذَا لَمْ يَعْلَمْ طُلُوعَ الصُّبْحِ، أَمَّا إِذَا عَلِمَ أَنَّهُ قَدْ طَلَعَ أَوْ شَكَّ فِيهِ فَلَا

অর্থ : এ হাদীসের ওপর তখনই আমল করা যাবে যখন আজান শোনা গেলেও সুবহে সাদিক না হওয়ার বিষয়টি কারও জানা থাকবে কিংবা না হওয়ার সন্দেহ করবে। ইবনুল মালাক বলেছেন : এটা তখনই যখন কেউ সুবহে সাদিকের কথা জানবে না। কিন্তু যদি কেউ জেনে যায়- সুবহে সাদিক হয়ে গেছে কিংবা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সে সন্দিহান, তবে তার জন্যে (আজান শোনার পর আর সাহরি খাওয়ার) সুযোগ নেই। [মিরকাতুল মাফাতীহ, কিতাবুস সাওম, হাদীস ১৯৮৮, তুরাস সংস্করণ]

৩. সুনানে আবু দাউদের ব্যাখ্যাকার মাওলানা খলীল আহমাদ সাহারানপুরী রহ. লিখেছেন : আমার কাছে এ হাদীসের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হলো, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত করেছেন, সাহরি খাওয়া নিষিদ্ধ হওয়ার সম্পর্ক সুবহে সাদিকের সঙ্গে, আজানের সঙ্গে নয়। কেননা মুয়াযযিন কখনো কখনো সময়ের আগেও আজান দিয়ে দিতে পারেন। তখন সেই আজান ধর্তব্য হবে না, যদি সুবহে সাদিকের কথা জানা  না থাকে। তবে এ বিধান যারা সুবহে সাদিক সম্পর্কে অবগত কেবল তাদের জন্যে। আর যারা সাধারণ মানুষ, সুবহে সাদিক সম্পর্কে  অবগত নয়, তাদের কর্তব্য সতর্কতা ও ইহতিয়াতের  সঙ্গে আমল করা। [বাযলুল মাজহুদ, উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]

৪. মাওলানা ইয়াহইয়া কান্ধলভী রহ. লিখেছেন : উপরোক্ত হাদীসে মাগরিবের আজানও উদ্দেশ্য হতে পারে। তখন অর্থ হবে- যখন কেউ মাগরিবের আজান শুনবে, তখন সূর্যাস্তের পর আর আজান শেষ হওয়া কিংবা অন্য কিছুর অপেক্ষা করার  প্রয়োজন নেই। বরং তখনই ইফতার শুরু করবে। আর যদি ফজরের আজান উদ্দেশ্য হয়, তবে অর্থ হবে- সাহরির শেষ সময়ের সম্পর্ক আজানের সঙ্গে নয়, সুবহে সাদিকের সঙ্গে। [প্রাগুক্ত]

বর্তমান সময়ে, বিশেষত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়, রমজানের ক্যালেন্ডার, দৈনিক পত্রিকা, রেডিও-টিভি এবং মোবাইল অ্যাপের সহজলভ্যতার কারণে প্রায় সকলেই সুবহে সাদিকের আসল সময় জেনে নিতে পারে। যারা আজান দেন, তারাও আকাশে সুবহে সাদিক হয়েছে কিনা তালাশ না করে ঘড়ির ওপর নির্ভর করেন। সকলেই এখন ঘড়ি ও ক্যালেন্ডার নির্ভর। ক্যালেন্ডারে দেয়া সুবহে সাদিকের সময়ও প্রায় সর্বজনস্বীকৃত। আবার ফজরের আজানও দেয়া হয় সুবহে সাদিকের ২-৩ মিনিট পর, সতর্কতাবশত। এ পরিস্থিতিতে আজানের পর কারও জন্যেই আর সাহরি খাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা আগেও বলে এসেছি, সুবহে সাদিক হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও কেউ যদি আজান না শোনার খোঁড়া অজুহাতে কেউ সাহরি খেতে থাকে, তবে তার ওপর রোজার কাযা-কাফফারা- দুটোই ওয়াজিব হবে।

একটি যৌক্তিক বিষয়- সুবহে সাদিক হয়ে গেলে সাহরির সময় শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ সাহরির শেষ সময় নির্ধারিত। তখন আজানের সময় শুরু হয়। কিন্তু আজানের কি কোনো শেষ সময় আছে, যে সময়ের পর আর আজান দেয়া যাবে না? কেউ চাইলে সুবহে সাদিকের পরপরই আজান দিতে পারে, কেউ একটু পরও আজান দিতে পারে। রমজান ছাড়া বছরের অন্য সময় তো আমাদের অনেক মসজিদেই দেরি করে আজান দেয়া হয় এবং সেটা নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয়ও নয়। এখন যদি সাহরির শেষ সময়ের সম্পর্ক আজানের সঙ্গে হয়, তবে কোন আজানের বিবেচনা হবে? নিজ মহল্লার, না প্রথম আজানের, না কোনটার? এমন আরও অনেক জটিলতার সৃষ্টি হবে, যদি আমরা স্বীকৃত সহজ পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে যেতে চাই।

Comments
  1. মাশাআল্লাহ শায়েখ!
    জাযাকুমুল্লাহু খইরান!!
    আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি, পাশাপাশি এরকম আরো অসংখ্য লেখা পাওয়ার ও পড়ার ইচ্ছা ও প্রত্যাশ রাখছি ইনশাআল্লাহ। ❤️❤️❤️

  2. মাশাল্লাহ 💝

  3. Alhamdulillah

  4. MaShaAllah Informative

  5. মাশাআল্লাহ

  6. মাশাআল্লাহ

  7. ভাই আমার প্রশ্ন হলো রসূল( সা:)এর যুগে তো ঘড়ি ছিলো না,, তাহলে কিভাবে এতো নিখুত ভাবে সাহরি এবং ইফতার করতো?ধরে নিলাম আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বুঝতো,, কিন্তু যখন আকাশ মেঘলা থাকত তখন কিভাবে বুঝতো সাহরি ও ইফতারের সময়??

    1. আকাশ মেঘলা থাকলে সতর্কতামূলক সাহরি একটু আগেই শেষ করে নেবে আর ইফতার একটু দেরিতে করবে।

  8. মা শা আল্লাহ

  9. mashaallah.

  10. Masallah Alhamdulillah allows Alhamdulillah

  11. Masha’Allah.
    It clarifies the confusion of the time to start saom and break the saom.

    Alhamdulillah.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ