Post Updated at 28 May, 2024 – 8:38 PM
কুরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত?
কুরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নেসাব পরিমাণ সম্পদ যার আছে তাকে কুরবানি আদায় করতে হবে। অন্যথায় গোনাহগার হতে হবে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানি করে না, তার বিষয়ে হাদীস শরীফে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
من كان له مال فلم يضح فلا يقربن مصلانا
যার (কুরবানি করার মতো) সম্পদ আছে, তবুও সে কুরবানি করেনি, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে! [মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস ৭৫৬৫]
হযরত জুনদুব ইবনে সুফয়ান রা. বর্ণনা করেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে কুরবানি করছিলাম। কিছু লোক সেদিন ঈদের নামাজের আগেই তাদের কুরবানির পশু জবাই করে ফেলেছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেরার পথে দেখলেন—তারা নামাজের আগেই কুরবানি করেছে। তখন তিনি বললেন :
مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَلْيَذْبَحْ مَكَانَهَا أُخْرَى ، وَمَنْ كَانَ لَمْ يَذْبَحْ حَتَّى صَلَّيْنَا فَلْيَذْبَحْ عَلَى اسْمِ اللهِ
যে নামাজের আগে জবাই করেছে, সে যেন এর পরিবর্তে আরেকটি পশু এখন জবাই করে। আর যে নামাজের আগে জবাই করেনি, সে আল্লাহর নামে এখন জবাই করুক। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫০০]
কুরবানি ওয়াজিব, ঐচ্ছিক সুন্নত নয়
এসব হাদীস সামনে রেখেই হানাফী মাযহাবে কুরবানিকে ওয়াজিব বলা হয়েছে। যারা কুরবানিকে সুন্নত বলেছেন, তাদের দৃষ্টিতেও তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত—সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ছেড়ে দিলে গোনাহ হবে। সুতরাং কুরবানির বিধানকে হালকাভাবে উপস্থাপন করে তা থেকে বিরত থাকার সুযোগ নেই। [ই‘লাউস সুনান, ১৭/২১২; ফাতাওয়া খানিয়া, ৩/৩৪৪; বাদাইয়ুস সানায়ে‘, ৫/৯৩-৯৪; ফাতাওয়া আলমগীরী, ৫/২৯২]