163 views
Post Updated at 24 Feb, 2023 – 4:33 PM
- শুরুতে ওজুর নিয়ত করে বিসমিল্লাহ বলে ওজু শুরু করবে।
- প্রথমে উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার করে ধুইবে।
- এরপর তিনবার কুলি করবে এবং মেসওয়াক করবে। যদি মেসওয়াক না থাকে তাহলে মোটা কাপড় কিংবা আঙ্গুল দিয়ে হলেও দাঁত পরিষ্কার করবে।
- গরগরা করবে। তবে রোজা অবস্থায় গরগরা না করাই ভালো।
- এরপর তিনবার নাকে পানি দেবে। বাম হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করবে।
- এরপর তিনবার মুখ ধুইবে। ভ্রুর নীচে কিংবা কানের লতির সামনে শুকনো থেকে যেতে পারে। এ জায়গাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- এরপর ডান হাত কনুইসহ তিনবার ধুইবে। এরপর বাম হাত। উভয় হাত ধোয়ার পর এক হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলের মাঝে প্রবেশ করিয়ে খেলাল করবে। হাতের আংটি চুরি ইত্যাদি থাকলে এগুলো নাড়িয়ে ভালোভাবে ভেতরে পানি পৌঁছাতে হবে।
- এরপর সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করবে। এরপর কান মাসেহ করবে।
- শাহাদাত (তর্জনি) আঙ্গুল দিয়ে কানের ভেতরের দিক আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে কানের বাইরের দিক মাসেহ করতে হয়।
- এরপর উভয় হাতের পিঠ দিয়ে ঘাড় মাসেহ করবে।
- সবশেষে তিনবার টাখনুসহ ডান পা এবং তিনবার টাখনুসহ বাম পা ধুইতে হবে।
দুটি মাসআলা
মাসআলা ১: উল্লিখিত এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ওজু করা সুন্নত। যদি কেউ এ ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ওজু করে, যেমন, আগে কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়ার পর মুখ ধুইল অথবা পা ধোয়ার পর মাথা মাসেহ করল, তাহলে যদিও ওজু হয়ে যাবে, কিন্তু এমন করা সুন্নতের পরিপন্থী।
মাসআলা ২: এক অঙ্গ ধোয়ার পর তা শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই আরেক অঙ্গ ধোয়া উচিত। এর ব্যতিক্রম হলে ওজু হয়ে যাবে ঠিক, তবে সুন্নতের খেলাপ হবে।