Post Updated at 29 Feb, 2024 – 11:22 PM
ওজুর ফরজ (সংক্ষিপ্ত)
ওজুর ফরজ চারটি- ১. সমস্ত মুখমণ্ডল ধোয়া, ২. দুই হাত কনুইসহ ধোয়া, ৩. মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা, ৪. দুই পা টাখনুসহ ধোয়া। [সূরা মায়েদা, ৫ : ৬]
ওজুর ফরজ সংক্রান্ত মাসায়েল
মুখমণ্ডল হাত ও পা ধোয়ার সীমা
মাসআলা : মুখমণ্ডল ধোয়ার সময় চুলের গোড়া থেকে থুতনির নীচ পর্যন্ত, এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত সবটুকু ধুইতে হবে।
মাসআলা : দুই হাত কনুইসহ এবং দুই পা টাখনুসহ ধুইতে হবে। অনেক সময় কনুইয়ের শেষ দিকে, পায়ের টাখনু কিংবা গোড়ালি কিছুটা শুকনো থেকে যায়। এতে ওজু হবে না।
মাথা মাসেহের পরিমাণ
মাসআলা : পুরো মাথার অন্তত চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করতে হবে। এতটুকু ফরজ। তবে পুরো মাথা একবার মাসেহ করা সুন্নত।
ওজুর অঙ্গগুলো কতবার ধুইতে হয়
মাসআলা : মুখমণ্ডল, দুই হাত কনুই পর্যন্ত এবং দুই পা টাখনু পর্যন্ত কমপক্ষে একবার করে ধোয়া ফরজ আর তিনবার করে ধোয়া সুন্নত। তবে এক-দুইবার করে করলেও ওজু হয়ে যাবে। যদি পানি কম থাকার কারণে কিংবা অন্য কোনো কারণে কেউ শুধু ওজুর ফরজ অঙ্গগুলো একবার করে ধুয়ে নেয় এবং মাথা মাসেহ করে, তাহলেও ওজু হয়ে যাবে।
ফরজ অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছানো জরুরি
মাসআলা : ওজুতে যে অঙ্গগুলো ধোয়া ফরজ, সেগুলোর কোনো একটি ধোয়া না হলে কিংবা সামান্য অংশ শুকনো থাকলেও ওজু হবে না। সেখানে যদি এমন কোনো কিছু লেগে থাকে, যার কারণে চামড়ায় পানি পৌঁছে না, যেমন রং, তাহলেও ওজু হবে না। ওজু করার পর যদি হাতে পায়ে বা চেহারায় লেগে থাকা কোনো রংয়ের ফোটা বা এ জাতীয় কোনো কিছু দেখা যায়, তাহলে তা উঠিয়ে ঐ জায়গাটুকু ধুয়ে নিলেই হবে। অবশ্য নখের ভেতর সাধারণত যে ময়লা থাকে, একারণে ওজুতে কোনো সমস্যা হবে না। আর নখের ভেতর যদি এমন কোনো ময়লা আটকে থাকে, যার কারণে চামড়ায় পানি পৌঁছবে না, তাহলে ওজু হবে না।
মাসআলা : হাতের আংটি চুরি ইত্যাদির কারণেও যদি চামড়া না ভেজে, তাহলেও ওজু হবে না।
মাসআলা : নখে যদি নেইল পলিশ দেয়া থাকে তাহলে ওজু হবে না। তবে মেহেদি দেয়া থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
[সূত্র : আদদুররুল মুখতার, ১/২১০-২১৩]
ওজুর সুন্নতসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
ওজুর মাকরুহ বিষয় ও বিবিধ মাসায়েল জানতে এখানে ক্লিক করুন
Abusaid
March 12, 2024 at 6:10 pmAbusaidmiy